ঝুঁকিতে থাকা নাগরিকদের দ্রুত সরিয়ে নেওয়ার অঙ্গীকার আফগানিস্তান থেকে যত দ্রুত সম্ভব ঝুঁকিতে থাকা নাগরিকদের সরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা চলছে ন্যাটো জোটভুক্ত দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা। শুক্রবার ন্যাটো জোটভুক্ত দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা এক বৈঠকে এই প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
মার্কিন নেতৃত্বাধীন পশ্চিমা সমর্থিত আফগান সরকারের সাথে কাজ করা নাগরিকদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে তালেবান খুঁজেছে এমন খবর সামনে আসার পর শুক্রবার এ আহ্বান জানায় বিশ শক্তিধর দেশগুলো।
তালেবান দ্বিতীয় দফায় ক্ষমতা দখলের পর এ পর্যন্ত ১৮ হাজারের বেশি মানুষকে আফগানিস্তান থেকে সরিয়ে আনা হয়েছে বলে জানিয়েছে ন্যাটো। তবে দেশ ছাড়তে মরিয়া আফগানদের পর্যাপ্ত সহযোগিতা না করায় সমালোচনার মুখে পড়েছে ন্যাটো।
রোববার থেকে শুরু করে বিমানবন্দরে এখন পর্যন্ত ১২ জন আফগান নিহত হয়েছেন৷ শুক্রবার বিমানবন্দরে যাওয়ার পথে এক জার্মান নাগরিক গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়েছেন৷ আফগানিস্তানে নিরাপত্তা পরিস্থিতি ক্রমাগত নাজুক হতে থাকায় হুমকিতে থাকা ব্যক্তিদের দ্রুত দেশটি থেকে নিয়ে আসার জন্য চাপ বাড়ছে জার্মানিসহ ন্যাটো দেশগুলোর উপরে৷
বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে ন্যাটোর এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, গেল পাঁচদিনে মোট ১৮ হাজার জনকে দেশটি থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে৷ সংকট সমাধানে সামনের দিনে এই গতি দ্বিগুণ করা হবে৷ এই মুহূর্তে আফগানিস্তানের ভিতরে ন্যাটোর কোনো সেনা মোতায়েন না থাকলেও নিজেদের ও আফগান নাগরিকদের সরিয়ে নিতে কাবুল বিমান বন্দরে যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন, তুরস্কের সৈন্যের উপস্থিতি রয়েছে৷
এদিকে শুক্রবার জুমার নামাজের আগে তালেবানের পক্ষ থেকে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানানো হয়েছে৷ মানুষ যাতে আফগানিস্তান না ছাড়ে, সে বিষয়ে বলতে গিয়ে ইমামদের প্রতিও আহ্বান জানায় ক্যানাডা, তুরস্কসহ কয়েকটি দেশে সন্ত্রাসী সংগঠন ঘোষিত সংগঠনটি৷
ন্যাটো জোট ও আফগান সরকারকে সাহায্য করা নাগরিকদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে খুঁজছে তালেবান যোদ্ধারা। জাতিসংঘের এক নথিতে এ সতর্কতার কথা জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, তালেবানরা তাদের টার্গেট করা মানুষজনকে বাড়ি বাড়ি গিয়ে খুঁজছে এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের হুমকি দিয়ে আসছে।
কট্টর ইসলামপন্থী এই গোষ্ঠীটি ক্ষমতা দখলের পর থেকে আফগানদের আশ্বস্ত করার চেষ্টা করেছে এবং প্রতিশ্রুতি দিয়েছে যে তারা “প্রতিশোধ নেবে না”।
কিন্তু আশঙ্কার বিষয় হল, ১৯৯০ এর দশকের নৃশংসতার পর তালেবান খুব সামান্যই বদলেছে।
জাতিসংঘকে যারা গোয়েন্দা তথ্য সরবরাহ করতেন, তালেবান তাদেরকে টার্গেট করছে বলে এক গোপন নথিতে সতর্ক করা হয়েছে।
অন্যদিকে, সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার পরও বাদগিস প্রদেশের পুলিশ প্রধান জেনারেল হাজি মোল্লা আচাকজাইকে গুলি করে হত্যা করা হয় বলে শুক্রবার আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে জানা গেছে। ওই হত্যাকাণ্ডের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।